শবে কদরের ইবাদতসমূহ
শবে কদর (লাইলাতুল কদর) হলো রমজান মাসের শেষ ১০ দিনের কোনো এক বিজোড় রাত (২১, ২৩, ২৫, ২৭ বা ২৯তম রাত)। এটি ইসলামে অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ একটি রাত, যা হাজার মাসের চেয়েও উত্তম (সূরা কদর, ৯৭:৩)। এই রাতে ইবাদত-বন্দেগির বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে।
শবে কদরের প্রধান ইবাদতসমূহ:
১. নফল নামাজ পড়া
- তাহাজ্জুদ, তাহিয়্যাতুল ওজু, সালাতুত তাসবিহ ইত্যাদি নফল নামাজ পড়া।
- কুরআনে উল্লেখ আছে, এই রাতে ফেরেশতারা ও রুহ (জিবরাঈল) পৃথিবীতে অবতরণ করেন (সূরা কদর ৯৭:৪)।
২. কুরআন তিলাওয়াত ও তাদাব্বুর (গভীরভাবে চিন্তা করা)
- এই রাতে কুরআন নাজিল শুরু হয়েছিল, তাই বেশি বেশি কুরআন তিলাওয়াত করা মুস্তাহাব।
- সূরা কদর, সূরা ইখলাস, সূরা ইয়াসিন, সূরা মুজাম্মিল ইত্যাদি পড়া যেতে পারে।
৩. দোয়া ও ইস্তিগফার
اللَّهُمَّ إِنَّكَ عَفُوٌّ تُحِبُّ الْعَفْوَ فَاعْفُ عَنِّي
"হে আল্লাহ! তুমি ক্ষমাশীল, ক্ষমা করতে ভালোবাসো, তাই আমাকে ক্ষমা করে দাও।" (তিরমিজি, ইবনে মাজাহ)
- ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও সমগ্র উম্মাহর জন্য দোয়া করা।
৪. জিকির-আজকার ও তাসবিহ
- সুবহানাল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহু আকবার, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ ইত্যাদি জিকির করা।
- আস্তাগফিরুল্লাহ ও দুরুদ শরিফ বেশি বেশি পড়া।
৫. সদকা দেওয়া
- গোপনে বা প্রকাশ্যে দান-খয়রাত করা।
৬. ইতিকাফ করা
- রমজানের শেষ ১০ দিনে ইতিকাফ করা সুন্নত। যারা মসজিদে ইতিকাফে থাকেন, তারা এই রাতটি বিশেষভাবে ইবাদতে কাটাতে পারেন।
শবে কদর চেনার কিছু আলামত:
- রাতটি অত্যন্ত শান্ত ও প্রশান্ত মনে হবে।
- আকাশ পরিষ্কার থাকবে, বাতাসে হালকা সুবাস থাকতে পারে।
- সকালে সূর্য উদয় হবে নিরেট লাল বর্ণের, কিন্তু তীব্র রশ্মি থাকবে না।